পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ কোনটি

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ কোনটি ? পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়া। এটি ভূমির পরিমাণ অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম দেশ, যার মোট আয়তন 17,098,242 বর্গ কিলোমিটার (6,612,673 বর্গ মাইল)। এটি ইউরোপ এবং এশিয়া উভয় মহাদেশ জুড়ে বিস্তৃত, এবং এর উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর, পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণে ককেশাস এবং কাস্পিয়ান সাগর এবং পশ্চিমে বাল্টিক সাগর এবং পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশ রয়েছে।

রাশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় 146 মিলিয়ন, যা বিশ্বের নবম বৃহত্তম। এর রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর হল মস্কো।

কিছু আকর্ষণীয় তথ্য:

  • রাশিয়ার ভূখণ্ড পৃথিবীর মোট ভূখণ্ডের প্রায় এক-নবমাংশ।
  • রাশিয়ার 11টি সময়মন্ডল রয়েছে।
  • রাশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলপথ, সবচেয়ে গভীর মেট্রো স্টেশন এবং সবচেয়ে বড় হ্রদ রয়েছে।
  • রাশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে।

অন্যান্য বৃহৎ দেশগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কানাডা (দ্বিতীয় বৃহত্তম)
  • চীন (তৃতীয় বৃহত্তম)
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (চতুর্থ বৃহত্তম)
  • ব্রাজিল (পঞ্চম বৃহত্তম)

মনে রাখবেন যে “বৃহত্তম” দেশের সংজ্ঞা নির্ভর করে আপনি কোন মানদণ্ড ব্যবহার করছেন তার উপর। যদি আপনি জনসংখ্যার দিক থেকে বৃহত্তম দেশগুলির কথা বলেন, তাহলে চীন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে থাকবে। যদি আপনি অর্থনীতির আকার অনুযায়ী বৃহত্তম দেশগুলির কথা বলেন, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং জাপান শীর্ষে থাকবে।

Which is the largest country in the world

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ কোনটি?

ভূমির পরিমাণ অনুযায়ী, সবচেয়ে ছোট দেশ হল ভ্যাটিকান সিটি, যার আয়তন মাত্র 0.44 বর্গ কিলোমিটার (0.17 বর্গ মাইল)। এটি ইতালির রাজধানী রোমের মধ্যে অবস্থিত একটি ছোট এনক্লেভ। ভ্যাটিকান সিটি ক্যাথলিক চার্চের কেন্দ্রস্থল এবং পোপের বাসস্থান।

জনসংখ্যার দিক থেকে, সবচেয়ে ছোট দেশ হল নিউয়ে, যার জনসংখ্যা মাত্র 1,626 জন। এটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র।

অন্যান্য ছোট দেশগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • মোনাকো (দ্বিতীয় ছোটতম দেশ ভূমির পরিমাণ অনুযায়ী)
  • তুভালু (দ্বিতীয় ছোটতম দেশ জনসংখ্যার দিক থেকে)
  • সান মারিনো
  • লিechtenstein
  • মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ

মনে রাখবেন যে “সবচেয়ে ছোট” দেশের সংজ্ঞা নির্ভর করে আপনি কোন মানদণ্ড ব্যবহার করছেন তার উপর।

আরও কিছু তথ্য:

  • ভ্যাটিকান সিটি বিশ্বের একমাত্র দেশ যার সরকারি ভাষা ল্যাটিন।
  • নিউয়ে বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে কোন বিমানবন্দর নেই।
  • মোনাকো বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ।
  • তুভালু বিশ্বের সবচেয়ে নিচু দেশ, যার সর্বোচ্চ উচ্চতা মাত্র 5 মিটার (16 ফুট)।
  • সান মারিনো বিশ্বের প্রাচীনতম প্রজাতন্ত্র।
  • লিechtenstein বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে দুটি রাজা রয়েছে।
  • মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বের সবচেয়ে বিক্ষিপ্ত দেশ, যার 1,152 টি দ্বীপ রয়েছে যা 2,900 বর্গ কিলোমিটার (1,100 বর্গ মাইল) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

আরও পড়ুনঃ কাজী নজরুল ইসলামকে বিদ্রোহী কবি উপাধি দেন কে

কানাডার ইতিহাস কি?

কানাডার ইতিহাস দীর্ঘ ও জটিল, যা হাজার বছর আগের আদিবাসীদের বসবাস থেকে শুরু করে বর্তমান বহুসংস্কৃতির, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পর্যন্ত বিস্তৃত।

আদিবাসী সমাজ (10,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দ – 1500 খ্রিস্টাব্দ):
  • প্রথম আগমন: প্রায় 10,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে, এশিয়া থেকে আসা মানুষরা বরফের সেতু পার হয়ে বর্তমান কানাডায় পৌঁছায়।
  • বিভিন্ন সংস্কৃতি: হাজার বছর ধরে, বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী উত্তর আমেরিকার বিশাল ভূখণ্ড জুড়ে তাদের নিজস্ব অনন্য সংস্কৃতি তৈরি করে।
  • শিকারী-সংগ্রহকারী এবং কৃষিকাজ: কানাডার আদিবাসীরা বিভিন্ন জীবনধারা অনুসরণ করত, যার মধ্যে রয়েছে শিকার-সংগ্রহ, কৃষি, এবং মাছ ধরা।
ইউরোপীয় উপনিবেশবাদ (1500-1763):
  • ইউরোপীয়দের আগমন: 15 শতকে, ইউরোপীয় অন্বেষকরা, যার মধ্যে রয়েছে জন ক্যাবট এবং জ্যাক কার্টियर, উত্তর আমেরিকায় পৌঁছায়।
  • ফরাসি উপনিবেশ: 1600 সালে, ফ্রান্স নিউ ফ্রান্স প্রতিষ্ঠা করে, যা বর্তমানে পূর্ব কানাডার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে বিস্তৃত ছিল।
  • ব্রিটিশ উপনিবেশ: 17 শতকে, ব্রিটিশরা নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং হাডসন বে অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন করে।
  • সংঘাত এবং যুদ্ধ: ফরাসি এবং ব্রিটিশদের মধ্যে প্রায়শই উত্তর আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাত হত। 1763 সালে, সাত বছরের যুদ্ধের সমাপ্তিতে, ব্রিটিশরা ফ্রান্সের কাছ থেকে নিউ ফ্রান্স দখল করে।
ব্রিটিশ শাসন (1763-1867):
  • ব্রিটিশ উত্তর আমেরিকা: 1763 সালের পর, ব্রিটিশরা উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • আমেরিকান বিপ্লব: 1776 সালে, আমেরিকান উপনিবেশগুলি ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
  • 1812 সালের যুদ্ধ: ব্রিটিশ উত্তর আমেরিকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যে 1812 সালের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
  • স্ব-শাসনের দিকে: 19 শতকে, ব্রিটিশ উত্তর আমেরিকার উপনিবেশগুলিতে ক্রমবর্ধমান স্ব-শাসনের আকাঙ্ক্ষা দেখা দেয়।
কানাডার সংঘ (1867):
  • কনফিডারেশন: 1867 সালে, ব্রিটিশ উত্তর আমেরিকার চারটি প্রদেশ – অন্টারিও, কোয়েবেক, নোভা স্কটিয়া এবং নিউ ব্রান্সউইক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস দীর্ঘ ও জটিল, যা আদিবাসীদের বসবাস থেকে শুরু করে বর্তমান বিশ্বশক্তিতে পরিণত হওয়ার গল্প বলে।

আদিবাসী আমেরিকান যুগ (প্রায় 15,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দ – 1600 খ্রিস্টাব্দ):

  • উত্তর আমেরিকার প্রথম বাসিন্দা: প্রায় 15,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে এশিয়া থেকে আসা মানুষরা বরফের সেতু পার হয়ে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছায়।
  • বিভিন্ন সংস্কৃতি: হাজার বছর ধরে, বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী তাদের নিজস্ব অনন্য সংস্কৃতি তৈরি করে।
  • শিকারী-সংগ্রহকারী এবং কৃষিকাজ: আদিবাসীরা বিভিন্ন জীবনধারা অনুসরণ করত, যার মধ্যে রয়েছে শিকার-সংগ্রহ, কৃষি, এবং মাছ ধরা।

ইউরোপীয় উপনিবেশবাদ (1500-1775):

  • ইউরোপীয়দের আগমন: 15 শতকে, ইউরোপীয় অন্বেষকরা, যার মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টোফার কলম্বাস এবং জন ক্যাবট, উত্তর আমেরিকায় পৌঁছায়।
  • উপনিবেশ স্থাপন: 17 শতকে, ব্রিটিশ, ফরাসি, স্প্যানিশ এবং ডাচরা উত্তর আমেরিকার উপকূলে উপনিবেশ স্থাপন করে।
  • উপনিবেশবাদীদের সাথে সংঘাত: ইউরোপীয়দের আগমন আদিবাসীদের জীবনযাত্রার উপর বি devastating
  • অর্থনীতি এবং সমাজ: উপনিবেশগুলি কৃষি, বাণিজ্য এবং শিল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল।
  • উত্তেজনা বৃদ্ধি: 18 শতকে, ব্রিটিশ শাসন এবং করের বিরুদ্ধে উপনিবেশবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

আমেরিকান বিপ্লব (1775-1783):

  • স্বাধীনতার ঘোষণা: 1776 সালে, উপনিবেশগুলি ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
  • যুদ্ধ: একটি দীর্ঘ ও রক্তাক্ত যুদ্ধের পর, 1783 সালে, আমেরিকানরা ব্রিটিশদের পরাজিত করে এবং তাদের স্বাধীনতা অর্জন করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গঠন (1783-1815):

  • সংবিধান: 1787 সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান গৃহীত হয়, যা একটি নতুন ফেডারেল সরকার প্রতিষ্ঠা করে।
  • বিস্তার: 19 শতকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম দিকে দ্রুত বিস্তৃত হয়, নতুন ভূখণ্ড অর্জন করে এবং আদিবাসীদের স্থানচ্যুত করে।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতির নাম কি

রাশিয়ার ইতিহাস কি?

রাশিয়ার ইতিহাস দীর্ঘ এবং জটিল, যা প্রাচীনকালীন স্লাভিক উপজাতি থেকে শুরু করে আধুনিক রাশিয়ান ফেডারেশন পর্যন্ত বিস্তৃত।

প্রাচীনকাল (800-1500 খ্রিস্টাব্দ):

  • পূর্ব স্লাভিক উপজাতি: রাশিয়ার ইতিহাস 800 খ্রিস্টাব্দের আগে পূর্ব স্লাভিক উপজাতির বিকাশের সাথে শুরু হয়। এই উপজাতিগুলি বর্তমান রাশিয়া, ইউক্রেন এবং বেলারুশের অঞ্চলে বসবাস করত।
  • কিয়েভান রুস (882-1240): 882 সালে, রুরিক নামে এক ভাইকিং নেতা কিয়েভান রুস প্রতিষ্ঠা করেন। এই রাষ্ট্রটি পূর্ব স্লাভিক উপজাতিগুলিকে একত্রিত করে এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
  • মঙ্গোল আক্রমণ (1237-1240): 13 শতকে, মঙ্গোলরা কিয়েভান রুস আক্রমণ করে এবং এটিকে তাদের সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত করে। মঙ্গোল শাসন 200 বছরেরও বেশি সময় স্থায়ী হয় এবং রাশিয়ান সংস্কৃতি ও ইতিহাসের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।

মধ্যযুগ (1500-1700):

  • মস্কোভি রাষ্ট্রের উত্থান (1300-1500): 14 শতকে, মস্কোভি রাষ্ট্র মঙ্গোলদের কাছ থেকে ক্রমশ স্বাধীনতা অর্জন করে। 15 শতকের শেষ নাগাদ, মস্কোভি রাষ্ট্র সমগ্র রাশিয়াকে একত্রিত করে এবং একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীভূত রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
  • ইভান দ্য টেরিবল (1533-1584): ইভান দ্য টেরিবল ছিলেন মস্কোভি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বিখ্যাত শাসকদের একজন। তিনি একজন নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী ছিলেন, তবে তিনি রাষ্ট্রকে আধুনিকীকরণ এবং শক্তিশালী করার জন্যও দায়ী ছিলেন।
  • রোমানোভ রাজবংশ (1613-1917): 1613 সালে, মিখাইল রোমানোভ রাশিয়ার সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং রোমানোভ রাজবংশের সূচনা করেন। এই রাজবংশ 300 বছরেরও বেশি সময় ধরে শাসন করে এবং রাশিয়াকে একটি প্রধান ইউরোপীয় শক্তিতে পরিণত করে।

আধুনিক রাশিয়া (1700-বর্তমান):

  • পিটার দ্য গ্রেট (1682-1725): পিটার দ্য গ্রেট ছিলেন রোমানোভ রাজবংশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাসকদের একজন। তিনি রাশিয়াকে আধুনিকীকরণ এবং পাশ্চাত্যায়নের জন্য একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন।

উপসংহার

পোস্ট টি ভাল লেগে থাকলে আপনার বন্ধু দের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না , ধন্যবাদ আপনাদের সবাই কে আমাদের সাথে থাকার জন্য। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *