What is hardware?
হার্ডওয়্যার কি ? হার্ডওয়্যার বলতে বোঝায় কম্পিউটারের স্পর্শযোগ্য এবং দেখা যায় এমন সকল যন্ত্রাংশ। এগুলো ইলেকট্রনিক এবং ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল উপাদান দিয়ে তৈরি। হার্ডওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার কাজ করতে পারে না।
কিছু উল্লেখযোগ্য হার্ডওয়্যারের উদাহরণ:
- প্রসেসিং ইউনিট (CPU): এটিকে কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা হয়। CPU নির্দেশাবলী প্রক্রিয়া করে এবং গণনা সম্পাদন করে।
- মাদারবোর্ড: এটি কম্পিউটারের মেরুদণ্ড। মাদারবোর্ডে CPU, মেমরি, গ্রাফিক্স কার্ড, স্টোরেজ ড্রাইভ এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যার উপাদান সংযুক্ত থাকে।
- মেমরি (RAM): এটি কম্পিউটারের সাময়িক স্মৃতি। RAM চলমান প্রোগ্রাম এবং ডেটা ধারণ করে।
- স্টোরেজ ড্রাইভ: এটি কম্পিউটারের দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি। স্টোরেজ ড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম, সফ্টওয়্যার, ফাইল এবং ডেটা সংরক্ষণ করা হয়।
- ইনপুট ডিভাইস: এগুলো হলো কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম ইত্যাদি যা ব্যবহারকারীকে কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে।
- আউটপুট ডিভাইস: এগুলো হলো মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার ইত্যাদি যা কম্পিউটার থেকে তথ্য প্রদর্শন করে।
- গ্রাফিক্স কার্ড: এটি কম্পিউটারের স্ক্রিনে চিত্র প্রদর্শন করে।
- নেটওয়ার্কিং ডিভাইস: এগুলো হলো নেটওয়ার্ক কার্ড, রাউটার, মডেম ইত্যাদি যা কম্পিউটারকে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত করে।
হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যেমন:
- ডেস্কটপ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার
- ল্যাপটপ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার
- মোবাইল ডিভাইস হার্ডওয়্যার
- সার্ভার হার্ডওয়্যার
হার্ডওয়্যার নির্বাচন করার সময় আপনার বাজেট, প্রয়োজন এবং পছন্দ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
মনে রাখবেন:
- হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে এটি সফ্টওয়্যার এর সাথে সমন্বয়ে কাজ করে।
- হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার উভয়ই আপডেট রাখা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনার কম্পিউটার সুরক্ষিত থাকে।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার ভাইরাস কি | WHAT IS A COMPUTER VIRUS?
কোনটি ছাড়া হার্ডওয়্যার কাজ করে না?
কোন একক উপাদান ছাড়া হার্ডওয়্যার কাজ করতে পারে না, কারণ এটি একটি পরস্পর সংযুক্ত ব্যবস্থা।
প্রতিটি উপাদান তার নিজস্ব ভূমিকা পালন করে এবং অন্যান্য উপাদানের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে। যদি কোনও একটি উপাদান অনুপস্থিত বা অকার্যকর হয়, তবে পুরো সিস্টেমটি ব্যাহত হবে।
তবে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়:
- কেন্দ্রীয় প্রসেসিং ইউনিট (CPU): এটি কম্পিউটারের মস্তিষ্ক হিসাবে পরিচিত এবং নির্দেশাবলী প্রক্রিয়া করে এবং গণনা সম্পাদন করে। CPU ছাড়া, কম্পিউটার কোনও কাজ করতে পারবে না।
- মাদারবোর্ড: এটি কম্পিউটারের মেরুদণ্ড হিসাবে পরিচিত এবং সকল উপাদানকে সংযুক্ত করে। মাদারবোর্ড ছাড়া, উপাদানগুলি একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না এবং কম্পিউটার চালু হবে না।
- র্যাম (RAM): এটি কম্পিউটারের স্মৃতি হিসাবে পরিচিত এবং চলমান প্রোগ্রাম এবং ডেটা ধারণ করে। RAM ছাড়া, কম্পিউটার একাধিক প্রোগ্রাম চালাতে বা জটিল কাজ সম্পাদন করতে পারবে না।
- স্টোরেজ ড্রাইভ: এটি কম্পিউটারের দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি হিসাবে পরিচিত এবং অপারেটিং সিস্টেম, সফ্টওয়্যার, ফাইল এবং ডেটা সংরক্ষণ করে। স্টোরেজ ড্রাইভ ছাড়া, কম্পিউটারে কোনও তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে না।
এই উপাদানগুলি ছাড়াও, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যেমন ইনপুট ডিভাইস (কীবোর্ড, মাউস), আউটপুট ডিভাইস (মনিটর, প্রিন্টার), গ্রাফিক্স কার্ড, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে হার্ডওয়্যারের নকশা এবং কার্যকারিতা পরিবর্তিত হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে? চার্লস ব্যাবেজ
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য কি?
হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দুটোই কম্পিউটারের অপরিহার্য অংশ, তবে এদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে:
সংজ্ঞা:
- হার্ডওয়্যার: কম্পিউটারের স্পর্শযোগ্য এবং দেখা যায় এমন সকল যন্ত্রাংশ।
- সফটওয়্যার: কম্পিউটারকে নির্দেশাবলী প্রদান করে এবং কাজ করতে সাহায্য করে এমন অপ্রত্যক্ষ প্রোগ্রাম এবং ডেটা।
উদাহরণ:
- হার্ডওয়্যার: CPU, মেমরি, স্টোরেজ ড্রাইভ, মনিটর, কীবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার ইত্যাদি।
- সফটওয়্যার: অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, গেম, অ্যান্টিভাইরাস, ড্রাইভার ইত্যাদি।
বৈশিষ্ট্য:
বৈশিষ্ট্য | হার্ডওয়্যার | সফটওয়্যার |
প্রকৃতি | স্পর্শযোগ্য, দৃশ্যমান | অস্পর্শযোগ্য, অদৃশ্যমান |
উদাহরণ | CPU, মেমরি, মনিটর | অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন |
কার্যপ্রণালী | নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে | নির্দেশাবলী প্রদান করে |
পরিবর্তন | ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয় | দ্রুত পরিবর্তিত হয় |
মূল্য | সাধারণত ব্যয়বহুল | তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল |
উদাহরণ | ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে | ডেটা সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করে |
উদাহরণ | ভাঙতে পারে | কপি করা এবং শেয়ার করা যায় |
পরস্পর নির্ভরতা:
- হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার একে অপরের উপর নির্ভর করে কাজ করে।
- হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার চালানোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।
- সফটওয়্যার হার্ডওয়্যারকে কীভাবে কাজ করতে হবে তা নির্দেশ করে।
উপসংহার:
- হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দুটোই কম্পিউটারের অপরিহার্য অংশ।
- হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের শারীরিক কাঠামো তৈরি করে, যখন সফটওয়্যার কম্পিউটারকে কীভাবে কাজ করতে হবে তা নির্দেশ করে।
- এই দুটি উপাদান একসাথে কাজ করে কম্পিউটারকে ব্যবহারকারীর নির্দেশাবলী অনুসারে কাজ করতে সাহায্য করে।
প্রসেসিং ইউনিট (CPU) এর কাজ কি?
কম্পিউটারের মস্তিষ্ক হিসেবে পরিচিত, প্রসেসিং ইউনিট (CPU) হলো কম্পিউটারের একটি অপরিহার্য অংশ যা নির্দেশাবলী প্রক্রিয়া করে এবং গণনা সম্পাদন করে।
CPU এর মূল কাজগুলো হল:
- প্রোগ্রাম চালানো: অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন এবং গেম সহ সকল প্রোগ্রামের নির্দেশাবলী CPU দ্বারা পড়া এবং প্রক্রিয়া করা হয়।
- গণনা: যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, তুলনা ইত্যাদি গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ CPU দ্বারা সম্পাদিত হয়।
- ডেটা প্রক্রিয়া: পাঠ্য, ছবি, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি ডেটা CPU দ্বারা প্রক্রিয়া করা হয়।
- ইনপুট এবং আউটপুট নিয়ন্ত্রণ: কীবোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস এর সাথে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে CPU।
CPU কীভাবে কাজ করে:
- CPU তে কন্ট্রোল ইউনিট (CU), অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড লজিক্যাল ইউনিট (ALU), এবং রেজিস্টার নামে তিনটি প্রধান অংশ থাকে।
- CU নির্দেশাবলী পড়ে, বুঝে এবং প্রক্রিয়া করে।
- ALU গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ এবং ডেটা প্রক্রিয়া সম্পাদন করে।
- রেজিস্টার নির্দেশাবলী, ডেটা এবং মধ্যবর্তী ফলাফল সংরক্ষণ করে।
CPU এর গুরুত্ব:
- CPU কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কারণ এটি সকল কাজের কেন্দ্রবিন্দু।
- CPU এর গতি এবং ক্ষমতা কম্পিউটারের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা নির্ধারণ করে।
- দ্রুত এবং শক্তিশালী CPU দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
CPU এর বিভিন্ন ধরণ:
- বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটারের জন্য বিভিন্ন ধরণের CPU ব্যবহার করা হয়।
- ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ কম্পিউটারে সাধারণত ইন্টেল এবং AMD এর তৈরি CPU ব্যবহার করা হয়।
- মোবাইল ডিভাইসে সাধারণত ARM আর্কিটেকচারের CPU ব্যবহার করা হয়।
- সার্ভার এবং ওয়ার্কস্টেশনে সাধারণত শক্তিশালী CPU ব্যবহার করা হয়।
CPU কেনার সময়:
- CPU কেনার সময় গতি, কোর সংখ্যা, থ্রেড সংখ্যা, ক্যাশে মেমরি, গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
- আপনার বাজেট এবং প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে আপনার জন্য সঠিক CPU নির্বাচন করা উচিত।
র্যাম (RAM) কি এবং কি কাজে লাগে?
র্যাম (RAM) হল Random Access Memory এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি কম্পিউটারের একটি স্মৃতি যা চলমান প্রোগ্রাম এবং ডেটা ধারণ করে। র্যাম অস্থায়ী স্মৃতি হিসেবেও পরিচিত কারণ কম্পিউটার বন্ধ করার পর এতে সংরক্ষিত তথ্য অদৃশ্য হয়ে যায়।
র্যামের প্রধান কাজ হল:
- চলমান প্রোগ্রামের জন্য স্থান প্রদান করা: যখন আপনি কোন প্রোগ্রাম চালান, তখন র্যামে সেই প্রোগ্রামের নির্দেশাবলী এবং ডেটা লোড করা হয়।
- ডেটা প্রক্রিয়া করা: র্যাম CPU কে দ্রুত অ্যাক্সেস করতে পারে এমন স্থান প্রদান করে যেখানে এটি গণনা এবং ডেটা প্রক্রিয়া করতে পারে।
- মাল্টিটাস্কিং সক্ষম করা: র্যাম আপনাকে একই সময়ে একাধিক প্রোগ্রাম চালাতে এবং দ্রুত তাদের মধ্যে স্যুইচ করতে দেয়।
র্যামের গুরুত্ব:
- র্যাম কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- যথেষ্ট র্যাম থাকলে কম্পিউটার দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করে।
- কম র্যাম থাকলে কম্পিউটার ধীর এবং অস্থির হতে পারে।
র্যামের পরিমাণ:
- র্যামের পরিমাণ গিগাবাইট (GB) এ পরিমাপ করা হয়।
- সাধারণত, 4GB র্যাম বেসিক কাজের জন্য যথেষ্ট।
- 8GB র্যাম বেশিরভাগ কাজের জন্য ভালো।
- 16GB বা 32GB র্যাম গ্রাফিক্স-নিবিড় কাজ যেমন গেমিং বা ভিডিও এডিটিং এর জন্য প্রয়োজন।
র্যাম আপগ্রেড করা:
- আপনার যদি মনে হয় যে আপনার কম্পিউটারে পর্যাপ্ত র্যাম নেই, আপনি আরও র্যাম যোগ করতে পারেন।
- র্যাম আপগ্রেড করা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং কম খরচে করা যায়।
- র্যাম আপগ্রেড করার আগে, আপনার কম্পিউটারের মাদারবোর্ড এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন র্যাম নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার:
র্যাম কম্পিউটারের একটি অপরিহার্য অংশ যা দ্রুত এবং কার্যকর কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে। আপনার কম্পিউটারের প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে আপনার পর্যাপ্ত র্যাম থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
Pingback: ইন্টারনেট কি | What is internet?
Pingback: মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা কে | Who is the founder of Microsoft?