You are currently viewing কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে | ৭ টি সহজ সমাধান

কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে | ৭ টি সহজ সমাধান

✌✌Lack of any vitamin causes burning of hands and feet

হাত পা জ্বালাপোড়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে কিছু ভিটামিনের অভাবও অন্তর্ভুক্ত। কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালাপোড়া হতে পারে তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল:

ভিটামিন বি১২:  ভিটামিন বি১২ এর অভাবে পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া নামে একটি রোগ হয়। এই রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া, অবশতা, সুঁই ঝিনঝিনানি, দুর্বলতা, এবং হাঁটতে অসুবিধা।

ভিটামিন বি৬:  ভিটামিন বি৬ এর অভাবে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি নামক স্নায়ুতন্ত্রের রোগ হতে পারে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া, অবশতা, সুঁই ঝিনঝিনানি, ব্যথা, এবং দুর্বলতা।

ভিটামিন ই:  ভিটামিন ই এর অভাবে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি নামক স্নায়ুতন্ত্রের রোগ হতে পারে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হাত-পায়ে দুর্বলতা, পেশীর ক্ষয়, এবং হাঁটতে অসুবিধা।

নায়াসিন (ভিটামিন বি৩):  নায়াসিনের অভাবে পেলেগ্রা নামক রোগ হয়। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া, ত্বকের লালভাব, ডায়রিয়া, এবং মানসিক বিভ্রান্তি।

মনে রাখবেন: হাত পা জ্বালাপোড়ার অনেক কারণ থাকতে পারে এবং উপরে উল্লেখিত ভিটামিনের অভাব ছাড়াও আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। 

যদি আপনার হাত পা জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ  কারণ ডাক্তারই সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারবেন।

নিম্নলিখিত তথ্যগুলি আপনার ডাক্তারকে সঠিক রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে:

  • আপনার হাত পা জ্বালাপোড়া কখন শুরু হয়েছিল?
  • জ্বালাপোড়া কি তীব্র, নাকি এটি ধীরে ধীরে বেড়েছে?
  • আপনার কি অন্য কোন উপসর্গ আছে, যেমন অবশতা, সুঁই ঝিনঝিনানি, ব্যথা, দুর্বলতা, বা হাঁটতে অসুবিধা?
  • আপনার কি অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা আছে?
  • আপনি কি কোন ওষুধ খান?

আপনার ডাক্তার সম্ভবতঃ

  • আপনার রক্ত পরীক্ষা করবেন  ভিটামিনের অভাব সহ অন্যান্য সম্ভাব্য কারণগুলি  নির্ণয় করতে।
  • আপনার শারীরিক পরীক্ষা করবেন  স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যাগুলি সনাক্ত করতে।
  • অন্যান্য পরীক্ষা  যেমন  MRI বা  EMG  করতে পারেন  আরও তথ্য সংগ্রহ করতে।

হাত পা জ্বালা পোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা

হাত পা জ্বালা পোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা

মনে রাখবেন: এই চিকিৎসাগুলি কেবলমাত্র হালকা জ্বালাপোড়ার জন্য উপযোগী। যদি আপনার জ্বালাপোড়া তীব্র হয়, ফোলাভাব থাকে, পুঁস হয়, বা অন্য কোন উপসর্গ থাকে, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা যা আপনি চেষ্টা করতে পারেন:

  • ঠান্ডা সেঁক: এটি ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে ১০-১৫ মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্থানে রাখুন।
  • অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেলে প্রদাহ-বিরোধী এবং ব্যথানাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা জ্বালাপোড়া উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
  • নারকেল তেল: নারকেল তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে এবং জ্বালাপোড়া সারাতে সাহায্য করে।
  • হলুদ: হলুদের অ্যান্টিসেপটিক এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা জ্বালাপোড়া সারাতে সাহায্য করতে পারে। হলুদের গুঁড়া দিয়ে তৈরি পেস্ট আক্রান্ত স্থানে লাগান।
  • চা পাতা: চা পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা জ্বালাপোড়া সারাতে সাহায্য করতে পারে। ঠান্ডা করা কালো চা পাতা আক্রান্ত স্থানে লাগান।

অন্যান্য টিপস:

  • আক্রান্ত স্থান স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন: এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • আলগা পোশাক পরুন: যাতে আক্রান্ত স্থানে বাতাস চলাচল করতে পারে।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: শরীর হাইড্রেটেড রাখতে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: যাতে শরীর দ্রুত সেরে উঠতে পারে।
  • ধূমপান এড়িয়ে চলুন: ধূমপান ক্ষত সারাতে বাধা দেয়।
  • মদ্যপান এড়িয়ে চলুন: মদ্যপান রক্ত ​​​​প্রবাহ কমাতে পারে এবং ক্ষত সারাতে বাধা দিতে পারে।

আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি: এই চিকিৎসাগুলি কেবলমাত্র হালকা জ্বালাপোড়ার জন্য উপযোগী। যদি আপনার জ্বালাপোড়া তীব্র হয়, ফোলাভাব থাকে, পুঁস হয়, বা অন্য কোন উপসর্গ থাকে, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

এছাড়াও, আপনার যদি ডায়াবেটিস, রক্ত ​​​​প্রবাহের সমস্যা বা অন্যান্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তবে কোনও ঘরোয়া চিকিৎসা চেষ্টা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

✌✌আরও পড়ুনঃ MALE মানে কি ছেলে না মেয়ে

ডায়াবেটিস রোগীর পা জ্বালাপোড়া

ডায়াবেটিস রোগীর পায়ে জ্বালাপোড়া হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে।

কয়েকটি সম্ভাব্য কারণের মধ্যে রয়েছে:

  • ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি: এটি স্নায়ু ক্ষতি যা উচ্চ রক্ত ​​শর্করার কারণে হতে পারে। এর ফলে হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া, অবশতা, সুঁই ঝিনঝিনানি, ব্যথা, এবং দুর্বলতা হতে পারে।
  • পেরিফেরাল আর্টেরিওপ্যাথি: এটি রক্তনালীগুলির সংকীর্ণতা যা পায়ে পর্যাপ্ত রক্ত ​​​​প্রবাহ পৌঁছাতে বাধা দেয়। এর ফলে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা, এবং পায়ের ত্বকে রঙ পরিবর্তন হতে পারে।
  • চর্মের সংক্রমণ: ডায়াবেটিস রোগীদের ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে কারণ উচ্চ রক্ত ​​শর্করা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শরীরের ক্ষমতাকে দুর্বল করে। পায়ের ঘা বা ফোড়া এই সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
  • শুষ্ক ত্বক: ডায়াবেটিস রোগীদের ত্বক শুষ্ক হতে পারে, যা ফাটা, চুলকানি এবং জ্বালাপোড়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীর পায়ে জ্বালাপোড়া রোধ করার জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:

  • আপনার রক্ত ​​শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন: এটি ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি এবং পেরিফেরাল আর্টেরিওপ্যাথির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
  • নিয়মিত আপনার পায়ের যত্ন নিন: প্রতিদিন আপনার পায়ের ত্বক পরীক্ষা করুন কোন ক্ষত, ফাটল বা সংক্রমণের লক্ষণ আছে কিনা। আপনার পায়ের নখ কাটুন এবং নিয়মিত আপনার পায়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
  • আরামদায়ক জুতা পরুন: এমন জুতা পরুন যা ভাল ফিট করে এবং আপনার পায়ের আঙ্গুলগুলিকে চাপ থেকে রক্ষা করে।
  • ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং পায়ে রক্ত ​​​​প্রবাহকে আরও খারাপ করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম রক্ত ​​​​প্রবাহ উন্নত করতে এবং ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত দেখা করুন: আপনার ডাক্তার আপনার পায়ের পরীক্ষা করতে পারেন এবং কোনও সম্ভাব্য সমস্যা শনাক্ত করতে পারেন।

আপনার যদি ডায়াবেটিস রোগীর পায়ে জ্বালাপোড়া হয় তবে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা না করা হলে, এই সমস্যাগুলি আরও গুরুতর জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে পায়ের ক্ষত, পায়ের আঙ্গুল কাটা এবং এমনকি পায়ের গ্যাংরিন।

✌✌আরও পড়ুনঃ লিংগ ছোট হলে কি সমস্যা

হাত ও পায়ের তালু গরম থাকে কেন?

হাত ও পায়ের তালু গরম থাকার অনেক কারণ থাকতে পারে। কিছু সম্ভাব্য কারণের মধ্যে রয়েছে:

শারীরবৃত্তীয় কারণ:

  • রক্ত ​​​​প্রবাহ বৃদ্ধি: ব্যায়াম, উত্তেজনা, উষ্ণ পরিবেশ, গর্ভাবস্থা, মেনোপজ, কিছু ওষুধ (যেমন নিয়াসিন) এবং থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত মাত্রা রক্ত ​​​​প্রবাহ বৃদ্ধি করতে পারে, যার ফলে হাত ও পায়ের তালুতে উষ্ণতা অনুভূত হয়।
  • স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা: কিছু স্নায়ুতন্ত্রের রোগ, যেমন পার্ফেরিয়াল নিউরোপ্যাথি, হাত ও পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া বা গরম অনুভূতির কারণ হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ঘাম: চাপ, উদ্বেগ, ব্যায়াম, বা উষ্ণ পরিবেশে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, যার ফলে হাত ও পায়ের তালুতে ভেজা এবং গরম অনুভূতি হতে পারে।

চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণ:

  • সংক্রমণ: কিছু সংক্রমণ, যেমন ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোকার্ডিটিস বা ম্যালেরিয়া, জ্বর এবং হাত ও পায়ের তালুতে গরম অনুভূতির কারণ হতে পারে।
  • অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: কিছু অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে খাদ্য বা ওষুধের প্রতিক্রিয়া, হাত ও পায়ের তালুতে ফোলাভাব, চুলকানি এবং গরম অনুভূতির কারণ হতে পারে।
  • অটোইমিউন রোগ: কিছু অটোইমিউন রোগ, যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, হাত ও পায়ের তালুতে প্রদাহ এবং গরম অনুভূতির কারণ হতে পারে।
  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত বা অভাব, মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তন, এবং কিছু অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হাত ও পায়ের তালুতে গরম অনুভূতির কারণ হতে পারে।

মানসিক কারণ:

  • চাপ এবং উদ্বেগ: চাপ এবং উদ্বেগ রক্ত ​​​​চাপ এবং হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি করতে পারে, যার ফলে হাত ও পায়ের তালুতে গরম অনুভূতি হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হাত ও পায়ের তালুতে গরম অনুভূতি সহ বিভিন্ন শারীরিক লক্ষণের কারণ হতে পারে।

জীবনধারার কারণ:

  • মদ্যপান এবং ধূমপান: মদ্যপান এবং ধূমপান রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করতে পারে এবং হাত ও পায়ের তালুতে গরম অনুভূতির কারণ হতে পারে।
  • মশলাযুক্ত খাবার: কিছু লোকের মনে হয় মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পর হাত ও পায়ের তালুতে গরম অনুভূতি হয়।

শেষ কথা,

আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভাল লেগেছে। আর ভাল লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ।

This Post Has 4 Comments

Leave a Reply