গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা এবং পেট কামড়ানো সাধারণ। এগুলো সাধারণত উদ্বেগের কারণ নয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
পেটে ভোঁতা বা তীক্ষ্ণ ব্যথা হতে পারে। যদি ব্যথা তীব্র না হয় এবং বিশ্রাম করলে কমে যায়, তাহলে উদ্বেগ না করুন।
গর্ভধারণের ৬-৪১ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু কিছু মহিলা ২-৩ সপ্তাহ পরেও লক্ষণ অনুভব করেন। গর্ভাবস্থার লক্ষণ অনুভব করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তলপেটে ব্যথা গর্ভাবস্থার সাধারণ লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাই তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন। এই ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে শিশুর বৃদ্ধির কারণে পেলভিক ফ্লোর পেশির টান ও স্ট্রেচ হয়। এটি পেটে বিক্ষুব্ধতা ও তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, জরায়ুর সংকোচন, গর্ভপাত বা মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এর মত জটিলতাও পেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা ও পেট কামড়ানোর কারণগুলি
- শিশুর বৃদ্ধির কারণে পেলভিক ফ্লোর পেশির টান ও স্ট্রেচ
- কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস
- গর্ভপাত বা পূর্বকালীন প্রসবের ঝুঁকি
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, সংক্রমণ, থাইরয়েড সমস্যা, ধূমপান, গর্ভাশয়ের কোনো অসাধারণ গঠন বা অন্যান্য ঝুঁকি কারক
গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথার উপশমে পর্যাপ্ত পানি পান করা ভালো। হালকা ও বাতাসজনক খাবার গ্রহণ করুন। ডাক্তার অনুমোদিত হালকা ব্যায়াম করুন।
ক্রস্যান্ট বা বালিশ ব্যবহার করুন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
মনে রাখতে হবে, গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা সাধারণত হালকা। মাঝে মাঝে দেখা যায়।
ব্যথা হালকা হলে চিন্তার কিছু নেই। বিশ্রাম নেন বা পূ করবেন। এটি ব্যথার হ্রাস করতে পারে।
তবে যদি ব্যথা 24 ঘন্টার বেশি চলে বা অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়, তখন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা ভালো।
ইমপ্ল্যান্টেশন পেট ব্যথার একটি কারণ
গর্ভধারণের পর ভ্রূণ আপনার জরায়ুতে নিজের জায়গা করে নেয়। এই ঘটনাকে ইমপ্ল্যান্টেশন বলে। এই সময়ে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
আপনার মাসিকের সময় কাছাকাছি দুই-এক দিন ধরে হালকা ব্যথা হয়।
ইমপ্ল্যান্টেশনের সময় রক্তপাত খুব সাধারণ। এটি হালকা এবং কয়েকদিনের মধ্যে থেমে যায়।
ইমপ্ল্যান্টেশনের সময় ক্র্যাম্পিং এবং স্পটিং হতে পারে। এটি গর্ভসম্ভরণের প্রথম পর্বে সাধারণ।
ইমপ্ল্যান্টেশনের সময় আপনি হট ফ্ল্যাশ অনুভব করতে পারেন। আপনার মেজাজ দ্রুত বদল হয়।
আপনার পেট ভার হতে পারে। আপনার সঙ্গী বা পরিবারের সাথে সাপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে পেট ব্যাথা ইমপ্ল্যান্টেশনের সময় অনুভূত হয়। এটি হালকা এবং দু-তিন দিন ধরে থাকে।
যদি ব্যথা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
ক্র্যাম্পিং বা পেট কামড়ানোর কারণ
গর্ভে বাড়তে থাকা শিশুকে জায়গা দেওয়ার জন্য জরায়ু প্রসারিত হয়। এটি পেটের অন্যান্য অঙ্গকে চাপ দেয়। এই চাপের কারণে পেট ব্যথা বা পেট কামড়ানোর অনুভূতি হতে পারে।
এই ব্যথা সাধারণত তীব্র হয় না। কিছুক্ষণের বিশ্রামে এটি ঠিক হয়ে যায়।
More: কোমর ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ? জেনে নিন
জরায়ুর সংকোচন-প্রসারণের কারণে পেট ব্যথা
গর্ভাবস্থায় শিশু বড় হতে থাকায় পরিপাক নালীর ওপর চাপ বাড়ে। জরায়ু পেট ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে চাপ প্রয়োগ করে তীব্র পেট ব্যথা হতে পারে।
এই ব্যথা মুহূর্তের জন্য হতে পারে। প্রয়োজনীয় বিশ্রাম ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এটি প্রশমিত করা সম্ভব। গর্ভাবস্থায় পেট ভারী লাগা একটি সাধারণ সমস্যা। এটি সাধারণত আতঙ্কের কারণ হয় না।
গ্যাস, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পেট ব্যথা
গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হতে পারে কারণ গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য। গর্ভাবস্থায় পেটের চাপ বেড়ে যাওয়ায় হজমের গতি কমে যায়। এটি গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার দিকে নিয়ে যায়।
গর্ভের শিশু বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে পরিপাক নালির ওপর চাপ বেড়ে যায়। এটি এই সমস্যাগুলির কারণ হয়।
গর্ভাবস্থায় গর্ভাবস্থায় ৫ মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন? এটি পরিপাক নালির ওপর চাপ বাড়ানোর কারণে। এই চাপ হজমের গতি কমে যাওয়ার কারণ হয়। এটি গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার দিকে নিয়ে যায়।
এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত শারীরিক কর্মকাণ্ড করা উপকারী। পানি সেবন বৃদ্ধি করা এবং কাঁচা ফল এবং সবজি খাওয়াও উপকারী। যদি আপনার চিন্তাভাবনায় কোন পরিবর্তন দেখেন, তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিন।
প্রেগন্যান্সির ফলে পেটে সমস্যাগুলি | তার প্রভাব |
---|---|
গ্যাস | হজমের গতি কমে যাওয়া এবং পেটে চাপ বাড়া |
পেট ফাঁপা | হজমের গতি কমে যাওয়া এবং পেটে চাপ বাড়া |
কোষ্ঠকাঠিন্য | হজমের গতি কমে যাওয়া এবং পেটে চাপ বাড়া |
এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আপনাকে উপযুক্ত প্রতিকার সুপারিশ করবেন।
লিগামেন্টের ব্যথার কারণ
গর্ভাবস্থায়, জরায়ু ও গর্ভস্থ শিশুর দ্রুত বৃদ্ধি ও প্রসারণের ফলে, জরায়ুর আশেপাশের পেশি ও লিগামেন্টগুলোর ওপর চাপ বেড়ে যায়। এই টান ও চাপের কারণে তলপেটে গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী লাগে কেন। লিগামেন্টের ব্যথা সাধারণত হালকা হয় এবং বিশ্রাম, সঠিক দেহভঙ্গি এবং জল-ভর্তি ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে ব্যথা কমে যায়।
জরায়ুর আশেপাশের পেশি ও লিগামেন্টগুলোর টান থেকে পেট ব্যথা
- গোলাকার লিগামেন্টের ব্যথা অনুভব করার সময় একজন গর্ভবতী মহিলা তলপেটের এক বা উভয় পাশে অনুভব করতে পারেন।
- গোলাকার লিগামেন্টের ব্যথা প্রথম ত্রৈমাসিক গর্ভাবস্থার সময় যত তাড়াতাড়ি শুরু হতে পারে।
- বৃত্তাকার লিগামেন্টের ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে যেখানে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- গোলাকার লিগামেন্টের ব্যথা উপশম করতে এবং প্রত্যাশিত মায়েদের জন্য স্বস্তি প্রদানের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে।
লিগামেন্টের ব্যথা সাধারণত হালকা হয় এবং বিশ্রাম, সঠিক দেহভঙ্গি এবং জল-ভর্তি ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে ব্যথা কমে যায়। যেকোনো অতিরিক্ত উদ্বেগ থাকলে আপনার স্বাস্থ্য-সেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন থেকে পেটের অস্বস্তি
গর্ভাবস্থায় প্রাথমিক স্তরে ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন পেটের অস্বস্তির অনুভূতি দেয়। এটি কিছু সেকেন্ডের জন্য হয় এবং শিশুর আসার পূর্বে স্বাভাবিক প্রস্রাবে সাহায্য করে। এটি পেট এবং লিঙ্গনালীতে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
ব্র্যাক্সটন হিক্সের সংকোচন জরায়ুর শক্ত বা শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো অনুভব করে। এটি প্রায়শই হালকা এবং অনিয়মিত হয়। প্রকৃত শ্রম সংকোচনের বিপরীতে, এটি অনিয়মিত এবং তীব্রতা বৃদ্ধি পায় না।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের প্রথম দিকে ব্র্যাক্সটন হিক্সের সংকোচন শুরু হতে পারে। কিন্তু তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এটি বেশি দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় ৫ মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন এই অনুভূতি অনেক মহিলাদের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে।
অর্গাজম বা যৌন উত্তেজনার সময়ে পেট ব্যথা
গর্ভাবস্থায় যৌন উত্তেজনার সময় জরায়ু বড় হয়ে যায়। এটি রক্তপূর্ণ হয়ে যায় এবং তলপেটে ব্যথা দেখা দেয়। এই ব্যথা অস্বাভাবিক নয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে কমে যায়।
গর্ভাবস্থায় যৌন সম্পর্কের সময় তলপেটে ব্যথা অস্বস্তিকর হতে পারে। এটি জরায়ুর আকার বৃদ্ধি এবং রক্তস্রাব বৃদ্ধির কারণে। এই সময় যৌন সম্পর্ক বন্ধ করা বা বিরতি নেওয়া উচিত।
তলপেটে ব্যথা কমাতে প্রাকৃতিক ওষুধ চেষ্টা করা যেতে পারে। যেমন – পুঁই লেবু, রসুন চা, কাঁচা কলা, চিনি-জলে বৈনাগর মিশ্রণ এবং গরম পানির বোতল লাগানো।
তলপেটে ব্যথা করে এমন মেডিকেল অবস্থা আছে। যেমন – ইন্ডোমেট্রিওসিস, অ্যাড্রোজেনিক, ভ্রূণাবস্থার শিকড়, ফাইব্রয়েড এবং প্রোস্টেটের সমস্যা। ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথার কারণ শনাক্ত করে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে উভয়েরই স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় যৌন সক্রিয়তা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ? জেনে নিন।
প্রেগন্যান্সির সময় মহিলারা তলপেটে ভোঁতা ধরনের ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এটি প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়। এই ব্যথা মাসিকের সময় অনুভূত ব্যথার মতোই থাকতে পারে।
সাধারণত মাসিকের সময় আপনার মাথায় এই ব্যথা দেখা দেয়। এটি দুই-এক দিন ধরে থাকে।
এই ব্যথা আপনাকে চিন্তিত করতে পারে। কিন্তু এটি গর্ভাবস্থার প্রারম্ভিক লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়। যদি ব্যথা অসহ্য হয় বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথার কিছু অন্যান্য প্রধান কারণ হল:
- ইমপ্ল্যান্টেশন
- ক্র্যাম্পিং বা পেট কামড়ানো
- গ্যাস, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য
- লিগামেন্টের ব্যথা
- ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন
- অর্গাজম বা যৌন উত্তেজনা
যে কোনো ধরনের ব্যথার ক্ষেত্রে, আপনার স্বাস্থ্য যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা ও পর্যালোচনার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যথা সম্পর্কে আরও জানতে হলে আপনি আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
More: সহবাসের পর তলপেটে ব্যথা হয় কেন: কারণ ও প্রতিকার
গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথার কারণগুলি
গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হরমোন পরিবর্তন এবং শিশুর বৃদ্ধির কারণে হয়। এই ব্যথা গর্ভাবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে বেশি হয়। আমরা এখানে কিছু কারণ বিশদ আলোচনা করব:
গর্ভাবস্থার ত্রৈমাসিকভেদে তলপেট ব্যথার কারণ
- প্রথম ত্রৈমাসিকে: ইমপ্ল্যান্টেশনের সময় জরায়ুর লিগামেন্টের টানের ফলে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
- মধ্য ত্রৈমাসিকে: গর্ভাবস্থায় ক্র্যাম্পিং বা পেট কামড়ানোর ও লিগামেন্টের টানের ফলে তলপেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে।
- শেষ ত্রৈমাসিকে: বড় হতে থাকা শিশুর চাপে তলপেটে ব্যথা ও অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণ হল ইমপ্ল্যান্টেশন। মধ্য ও শেষ ত্রৈমাসিকে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হয়। যেমন, ক্র্যাম্পিং ও লিগামেন্টের টান এবং শিশুর চাপ।
গর্ভাবস্থার ত্রৈমাসিক | তলপেটে ব্যথার কারণ |
---|---|
প্রথম ত্রৈমাসিক | ইমপ্ল্যান্টেশন |
মধ্য ত্রৈমাসিক | ক্র্যাম্পিং ও লিগামেন্টের টান |
শেষ ত্রৈমাসিক | শিশুর চাপ |
গর্ভাবস্থায় তীব্র তলপেট ব্যথা দেখা দিলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা সাধারণ। কিন্তু যদি এটি অত্যধিক বেগুনি দেয়, রক্তস্রাব হয়, বমি বা জ্বর থাকে, তাহলে এটি একটি সমস্যা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে তাড়িতে ডাক্তারের কাছে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতি 50 গর্ভাবস্থার একটিতে ইকটপিক গর্ভাবস্থা হয়। এটি সাধারণত ৪র্থ থেকে ৮ম সপ্তাহে দেখা যায়। এই সময়ে পেটে তীব্র ব্যথা বা রক্তস্রাব হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। যেমন, লিগামেন্টের ব্যথা, গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য। এই ধরনের ব্যথা দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উপকারী।
প্রেগন্যান্সির লক্ষণসমূহ
গর্ভধারণের প্রারম্ভিক পর্যায়ে অনেক মহিলা গর্ভাবস্থার লক্ষণ চিনতে পারেন না। প্রেগন্যান্সির প্রথম লক্ষণ হল মাসিক লক্ষণের অভাব। কিন্তু স্তনের বৃদ্ধি, পেট ফাঁপা এবং খাদ্য পছন্দের আকাঙ্খা প্রেগন্যান্সির লক্ষণ নয়।
More: কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ: কারণ ও প্রতিকার
মাসিক লক্ষণ এবং অন্যান্য লক্ষণসমূহ
কিছু মহিলা গর্ভধারণের পরে লক্ষণ প্রকাশ করেন না। এটি তাদের গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করতে দেরি করে দেয়। প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যেতে পারে যা ফার্মেসি বা ক্লিনিকে উপলব্ধ।
যদি মাসিক লক্ষণ হারিয়ে যায় এবং আগে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক হয়েছিল, তবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যেতে পারে। পরীক্ষার ফলাফল কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রদর্শিত হয়।
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন 400 মাইক্রোগ্রাম ফোলিক এসিড খাওয়া এবং ভিটামিন ডি সংযোজন সুপারিশ করা হয়। খাবার খোঁড়াখুঁড়ি করা এড়িয়ে চলা হয়।
গর্ভাবস্থায় ধূমপান, অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং অযথা মদ্যপান এড়িয়ে চলার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়।
গর্ভধারণের একদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলে সঠিকভাবে গর্ভাবস্থার নির্ণয় করা যায়। কিন্তু হরমোন পর্যায়ের কারণে কিছু বক্স ভুল নেগেটিভ দেখাতে পারে।
গর্ভাবস্থার প্রতিটি ত্রৈমাসিক এবং প্রারম্ভিক মাসগুলির বিভিন্ন লক্ষণ ও সুপারিশ নির্দেশিত হয়। এগুলো গর্ভবতী মায়েদের পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
FAQ
তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ?
হ্যাঁ, তলপেটে ব্যথা গর্ভাবস্থার একটি সাধারণ লক্ষণ। গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত পরিবর্তন এবং শিশুর বৃদ্ধির কারণে এটি হয়।
গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা ও পেট কামড়ানোর কারণগুলি কি?
গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা ও পেট কামড়ানোর কারণ হল ইমপ্ল্যান্টেশন, ক্র্যাম্পিং, গ্যাস, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য।
ইমপ্ল্যান্টেশন পেট ব্যথার একটি কারণ কেন?
গর্ভধারণের পর ভ্রূণ আপনার জরায়ুতে নিজের জায়গা করে নেয়। এই ঘটনাকে ইমপ্ল্যান্টেশন বলে। এসময় তলপেটে ব্যথা দেখা দেয়।
ক্র্যাম্পিং বা পেট কামড়ানোর কারণ কি?
গর্ভে বাড়ন্ত শিশুকে জায়গা দেওয়ার জন্য জরায়ু প্রসারিত হয়। এটি পেটের অন্যান্য অঙ্গকে চাপ দেয়। ফলে পেট ব্যথা ও পেট কামড়ানো হয়।
ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন থেকে পেটের অস্বস্তি কেন হয়?
গর্ভাবস্থায় প্রাথমিক স্তরে ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন পেটের অস্বস্তির লক্ষণ। এটি শিশুর আসার পূর্বে স্বাভাবিক প্রস্রাবে সাহায্য করে। এটি পেট ও লিঙ্গনালীতে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
অর্গাজম বা যৌন উত্তেজনার সময়ে পেট ব্যথা কেন হয়?
গর্ভাবস্থায় যৌন উত্তেজনার সময় জরায়ু বড় হয়ে ওঠে। এটি তলপেটে অস্বস্তিকর ব্যথা দেখায়।
তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ?
হ্যাঁ, তলপেটে ভোঁতা ধরনের ব্যথা প্রেগন্যান্সির লক্ষণ। এটি মাসিকের সময় ঘটা ব্যথার মতো।
গর্ভাবস্থার ত্রৈমাসিকভেদে তলপেট ব্যথার কারণ কি?
প্রথম ত্রৈমাসিকে ইমপ্ল্যান্টেশন, মধ্য ত্রৈমাসিকে ক্র্যাম্পিং ও লিগামেন্টের টান, এবং শেষ ত্রৈমাসিকে পেটে চাপ হওয়ার কারণে তলপেটে ব্যথা দেখা দেয়।
গর্ভাবস্থায় তীব্র তলপেট ব্যথা দেখা দিলে করণীয় কি?
সাধারণত পেট ব্যথা গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এটি তীব্র হয়, রক্তস্রাব দেখা দেয়, বমি হয় অথবা জ্বর থাকে, তাহলে এটি জটিলতার লক্ষণ হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।
Pingback: কোমর ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ? জেনে নিন